মেজর জলিলের মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব চান রব

| আপডেট :  ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২  | প্রকাশিত :  ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২

সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। 

তিনি বলেন, একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়া সকল সেক্টর কমান্ডারকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন রব।

আ স ম আবদুর রব বলেন, মেজর জলিল এ দেশের অকুতোভয় সাহসী সন্তান, যিনি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠার পথে পা না বাড়িয়ে একটি নিশ্চিত, নিরাপদ এবং উজ্জ্বল জীবন ছুঁড়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অসম সাহসিকতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর খুলনা সীমান্ত দিয়ে দেশের সম্পদ পাচারে তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কার্যত নজরবন্দি রাখা হয়। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম রাজবন্দি। ১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বন্দিদশা থেকে তিনি মুক্তি পান। পরে স্বাধীন দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

তিনি বলেন, মেজর জলিলের দেশপ্রেম ও প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার হীনস্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী লড়াইয়ের অবদানের কোনো প্রকার স্বীকৃতি তাকে প্রদান করেনি। একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়া সকল সেক্টর কমান্ডারকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করা হয়।
 
জেএসডির সভাপতি বলেন, মেজর জলিলের মতো লড়াকু সৈনিককে তার প্রাপ্য বীরত্বপূর্ণ খেতাব না দেওয়া সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কমূলক দৃষ্টান্ত। 

বিবৃতিতে আসম রব বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে এ কলঙ্কের দায়মোচনের উদ্যোগ কোনো সরকারই গ্রহণ করেনি। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ন্যায্যতার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মেজর জলিলকে মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রদান করে দায়মোচনপূর্বক সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত