আল্লাহর বিধান কায়েমের পক্ষে ভোট না দিলে ওই ভোট পঁচে যায় : ড. শফিকুল ইসলাম

| আপডেট :  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৪  | প্রকাশিত :  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী না হলে তার দেওয়া ভোট পঁচে না। বরং আল্লাহর বিধান কায়েমের পক্ষে ভোট না দিয়ে মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, দখলদার, জনগণের সম্পদ লুট করা চোর-ডাকাতকে ভোট দিলেই ঐ ভোট পঁচে যায়। যারা নিজস্ব মতবাদে দেশ পরিচালনা করে তাদেরকে ভোট দিলে সেই ভোট পঁচে যায়। পঁচা ভোটের দূষিত ব্যাকটেরিয়া সমাজে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাধিতে রূপান্তর হয়। ওই ব্যাধিতে ভোটারকেই আক্রান্ত হতে হয়। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সভাকক্ষে জামায়াতে ইসলামীর বাছাইকৃত কর্মী এবং ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম আল কায়ছারী ও জেলা কর্মপরিষদের সদস্য উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. ওয়াজি উল্লাহ। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।  

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারীর স্বাধীনতার নামে গত ৫৩ বছর বাংলাদেশে নারীদের অধিকার ও ইজ্জত ক্ষুন্ন করা হয়েছে। নারীদেরকে ভোগ-বিলাসের পণ্যে রূপান্তর করেছে। ধর্ষণের সেঞ্চুরি করা হয়েছে। শিয়াল মুরগী যেমন বন্ধু হতে পারে না, বেপর্দা নারী তেমনই সমাজে নিরাপদ থাকতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইসলাম নারীদের অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারী অধিকারের নামে নারীদের ইজ্জত লুন্ঠনের সুযোগ নাই। নারীদের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটতে পারে না। বাংলাদেশ যদি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিচালিত হতো তাহলে ফেলানীর মত নিরীহ বোনদের সীমান্তে ভারত গুলি করে হত্যা করতে পারতো না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করতে পারতো না, রাজনৈতিক দলের পদবি দেওয়ার নামে নেতাদের কাছে নারীরা ভোগ পণ্য হতো না। নারী-পুরুষের সমান অধিকারের নামে নারীদেরকে তাদের প্রাপ্ত সম্মান ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হতো না। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভিন্ন ধর্মের নাগরিকদের সংখ্যালঘু বানিয়ে রাখতে পারতো না, পাহাড়ীদের উপজাতি বানিয়ে জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মের বিভাজন সৃষ্টি করা হতো না। এসব কেবলমাত্র মানব রচিত মতবাদে সম্ভব ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নয়। তাই মানুষের তৈরি মতবাদ থেকে বেরিয়ে এসে আল্লাহর বিধান কায়েমের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. মাসুদ বলেন,   তাহলে সমাজ মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদার, জনগণের সম্পদ লুট করা চোর-ডাকাত থেকে সমাজ রক্ষা পাবে। সমাজে শান্তি বিরাজ করবে। 

ড. মাসুদ উপস্থিত বাছাইকৃত কর্মী এবং ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের প্রয়োজনে সমাজের উন্নয়নের সবার আগে সবক্ষেত্রে অতীতের মত জামায়াতের কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী। আগামীতে দ্বীন কায়েমের ভোট যুদ্ধে জনগণকে অংশগ্রহণ করতে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নবী-রাসুল ও নারী-পুরুষ সাহাবীরা তরবারির যুদ্ধে জীবন ও রক্ত দিয়ে দ্বীন কায়েম করেছে। আর বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এসেছে ব্যালেটের যুদ্ধে ইসলামের পক্ষে ভোট দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এর আগে সকালে ড. মাসুদ বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি জনসাধারণের ও ব্যবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে বাউফল পৌর শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বাউফল উন্নয়ন ফোরামের অর্থায়নে সংস্কারকাজের  উদ্বোধন করেন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত