নির্যাতিত আ.লীগ কর্মী উজ্জ্বলের বাড়িতে গেলেন রিজভী

| আপডেট :  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮  | প্রকাশিত :  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮

নাটোরের বড়াইগ্রামে হামলায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার খোঁজখবর নেন। পরে নাটোরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন ও সাংবিধানিক সংস্থা। তাদের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। নির্বাহী বিভাগ যদি তাদের অন্যায় আদেশ করেন তা না শোনার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা বেছে বেছে এমন লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন করতেন, তারা শেখ হাসিনার কৃতদাস হয়ে কাজ করত। এদের কাছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো মূল্যই ছিল না। ভোটারদের কোনো দামই ছিল না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাবে এবং ভোটের পরিবেশ থাকবে শান্তিপূর্ণ। যেটার জন্য জনগণ সবসময় সমর্থন দিয়েছে।’

তিনি নাটোরে প্রকাশ্যে আ.লীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা বিএনপির নেতাকর্মী হলেও দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর ঘটনাকে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী জানান, বড়াইগ্রামের বনপাড়ার উজ্জ্বল কুমার মন্ডলকে মারধরের ঘটনাটি ভাইরাল (ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া) হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তাকে নির্দেশনা দেওয়ার পর তিনি নাটোরে এসেছেন। প্রথমে তিনি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার খোঁজখবর নেন। পরে বড়াইগ্রাম থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি পুলিশকে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিএনপির কেউ হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী যুবক বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তাদের দলের কর্মী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের কোনো অভিযোগ থাকলে সে ব্যাপারে আইনিব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পেটানো ঠিক হয়নি। বিএনপি এমন নীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি সব সময়মতো প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাত থেকে আটশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সৎ সাহস রয়েছে। কারণ, আমরা কোনো অন্যায় করিনি। তাই আমাদের নেত্রীকে পালাতে হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ এটা বিশ্বাস করত না। তারা নিজেরা অসৎ ছিল। তারা ফ্যাসিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই তাদের নেত্রীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহঅর্থবিষয়ক সম্পাদক মামুন আহমেদ সুমন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা বিএনপির সদস্য রুহুল আমীন তালুকদার টগরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত