মৃত্যুর পরও মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৯  | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৯


মৃত্যুর পরও মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর প্রায় এক বছর পরও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দেশদ্রোহ মামলায় পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের এই সাজা হয়েছিল নিম্ন আদালতে।

১০ জানুয়ারি বুধবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

কাজী ফয়েজ ঈসা’র উদ্ধৃতি দিয়ে ডন জানায়, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, লাহোর হাইকোর্ট (এলএইচসি)-এর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারীর মৃত্যুদণ্ড বাতিলের রায়টি অসাংবিধানিক ও একপেশে।

প্রেসিডেন্ট মোশাররফের এ রায়টি পাকিস্তানের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমবারের মতো সংবিধানকে বিপর্যস্ত করার জন্য একজন সাবেক সামরিক স্বৈরশাসককে শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

জানা যায়, ৭৯ বছর বয়সী পারভেজ অ্যামাইলয়েডসিসে আক্রান্ত হয়ে দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ২০২৩ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।  বুধবার শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী হামিদ খান ও সালমান সফদার। এসময় মোশাররফের আইনি উত্তরাধিকারীদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আপিল খারিজ করেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইসলামাবাদের একটি বিশেষ আদালত সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সাবেক এই স্বৈরশাসককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। মূলত ২০০৭ সালে সংবিধানকে স্থগিত করে দেশে ইমার্জেন্সি ঘোষণার মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণের অপরাধে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, বিরল রোগ অ্যামিলয়ডোসিসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগার পর ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের আমেরিকান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জেনারেল মোশাররফ।

১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হওয়ার পরের বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল পারভেজ মোশররফ। পরে ২০০২ সালে গণভোটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোশারাফ।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত