বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজাকে সতর্কতামূলক পত্র এনএসসির
ক্রীড়াঙ্গনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জেলা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর ফেডারেশনগুলোর সভাপতি নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি গঠনের কাজও প্রায় শেষ।
এরই মধ্যে তারিখ পড়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোশিয়েশনের (বিওএ) সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচনের। সেই নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে ক্রীড়া প্রশাসনে ব্যাপক সমালোচনার পর বাদ দেওয়া হয় নিয়োগ বাতিল করা নয় ফেডারেশনের সভাপতি ও পদত্যাগ করা এক সাধারণ সম্পাদককের নাম।
এরপরও ভোটার তালিকায় রয়ে যায় বর্তমান সময়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া এবং সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ১৫ জন ভোটারের নাম।
বিওএ সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশনের দাবি, এ তালিকা বিওএ কর্তৃপক্ষের দেওয়া। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের নাম এখনো বিওএর কাউন্সিলরের নতুন তালিকায় রয়ে যাওয়ায় দারুণ ক্ষুব্ধ ক্রীড়া প্রশাসন। এরই ফলে বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজাকে কঠোর ভাষায় অবগতকরণের পাশাপাশি বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের জন্য চিঠি দিয়েছেন।
সেই চিঠিতে শাহেদ রেজাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা মনে করি, আপনি ক্রীড়াঙ্গনে দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, ক্রীড়াঙ্গনে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে আপনি সচেষ্ট এবং কোনো ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত নন।
এনএসসির চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, আমরা মনে করি, ক্রীড়াঙ্গনে গতিশীলতা আনতে আপনি অন্যায়ের উদ্দেশে করা কোনো একটি অপরাধের অংশ নন। আপনার দ্বারা ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলেও আমরা মনে করি না। সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিওএ মহাসচিবকে দেওয়া পত্রটি প্রেরণ করেছে তার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের জন্য।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত