আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ১১১ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিকশাচালক আব্দুল মান্নানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত হওয়ার ১১১ দিন পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদিঘী পূর্বপাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মরদেহ উত্তোলন কাজের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই আরিফুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ বলেন, আদালতের নির্দেশে আব্দুল মান্নানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।
জানা যায়, নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদীঘী পূর্বপাড়া গ্রামে। তিনি রিকশাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৪ আগস্ট মারা যাওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে রানা হামিদ। মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
বগুড়ার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আব্দুল মান্নান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য গত ২৮ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত ৩১ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দেন। সে সঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত