গাজাকে হিরোশিমা-নাগাসাকির সঙ্গে তুলনা করলেন ব্রিটিশ চিকিৎসক

| আপডেট :  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭  | প্রকাশিত :  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭

কিছুদিন আগেই গাজার নাসের হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সার্জন ডা. নিজাম মামোদ। এরপর তিনি স্বচক্ষে গাজায় কী দেখেছেন তা যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট কমিটির কাছে তুলে ধরেন তিনি। অধিকৃত গাজাকে তিনি জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির সঙ্গে তুলনা করেছেন।

চারদিকে ধ্বংস, যতদূর চোখ যায় মাইলের পর মাইল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ভবন। কিছুই জন্মাচ্ছে না। কোনো মানুষ নেই। এদিক-সেদিক কিছু লুটেরা ছাড়া আর কেউ নেই। গাজায় থাকাকালে ক্ষণে ক্ষণে ড্রোনের শব্দ ভেসে আসায় মামোদ মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, এটা বিপদের প্রতিনিধিত্ব করে। সব সময়ই বিপদ ছিল সেখানে। এ ছাড়া আর যে শব্দ কানে ভেসে আসত, তা ছিল বোমা। এক মাস আমি সেখানে ছিলাম। প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর সেখানে বোমার বিস্ফোরণ শুনতাম।

এমনকি মেডিকেলসামগ্রী গাজার ভেতর নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি তাদের। সীমান্তেই সেগুলো পড়েছিল। ডা. মামোদ বলেন, ব্যথানাশকের অভাবে অপারেশনের পর রোগীদের প্যারাসিটামল খেতে হচ্ছে।

ব্রিটিশ এই ডাক্তার বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবহারের বাইরে আমাদের কোনো মেডিকেলসামগ্রী নিতে দেওয়া হয়নি। তখন আমি জানতে চাই, কিছু লোকের জন্য থাইরয়েডের ওষুধ নেওয়া যাবে কিনা? আমাকে এসব ওষুধ নিতে দেওয়া হয়নি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে।

শুধু মেডিকেলসামগ্রী নিতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বেসামরিক ব্যক্তিদের তুলেও নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তেল আবিব কখনও সশস্ত্র ড্রোনের বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে কিছু মিডিয়ার প্রতিবেদনে এ ধরনের ড্রোনের খবর উঠে এসেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত