সকাল-সন্ধ্যা গ্যাস সংকট, নাকাল নগরবাসী
গরমের দিনে গ্যাস সংকট থাকে। শীতে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। দিনে রান্না করা খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল ৭টার দিকেই গ্যাস চলে যায়। দুপুরের পর কিছুটা পাওয়া যায়। এরপর সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ মোটামুটি ঠিক থাকে, এমনটাই বলছিলেন রাজধানীতে বসবাসকারী এক নারী। বেশ কিছু দিন ধরেই শীতে কাতর নগরীর সঙ্গে গ্যাসের যেন আড়ি। বহু সাধ্য সাধনায় দেখা মেলে না অগ্নিশিখার। কোথাও আবার দেখা দিলেও নিমিষেই নিভে যায় চুলা। এমন চিত্র হাতিরপুল, কাঁঠালবাগানসহ ঢাকার অনেক এলাকার। গ্যাস সংকটে রান্না করতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে পড়ছেন রাজধানীবাসী। বাধ্য হচ্ছেন সিলিন্ডার বা লাকড়ির চুলা ব্যবহার করতে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। তীব্র গ্যাসের সংকটে দিন পার করছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, সময় মতো রান্না করতে না পারায় ব্যাঘাত ঘটছে পুরো পরিবারের খাওয়া দাওয়ায়। বাধ্য হয়ে অনেকে ব্যবহার করছেন সিলিন্ডারের গ্যাস। সিলিন্ডার বিক্রেতারাও বলছেন চাহিদা বেড়েছে তাদের পণ্যের। অথচ মাসের পর মাস তিতাসকে গুনতে হচ্ছে বিল। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, এ সমস্যা সাময়িক। আগামী ১৮ বা ১৯ তারিখের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতে ১৯ তারিখ থেকে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। তখন বর্তমানের মতো এত সমস্যা থাকবে না। সিলিন্ডার বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সময় বেশিরভাগ বাসাতেই গ্যাস থাকে না। সেই হিসাবে সিলিন্ডারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
সকাল-সন্ধ্যা গ্যাস সংকট, নাকাল নগরবাসী
বিবার্তা প্রতিবেদক
আরেক নারী বলেন, কোথাও কোথাও একটু একটু গ্যাস আসে। কোথাও তো একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করতে হচ্ছে।
আয় ব্যায়ের হিসাব মেলাতে না পেরে সিলিন্ডার কিনতে পারছেন না অনেকেই। তাদের ভরসা লাকড়ির চুলা। এক নারী বলেন,
সকাল বা বিকেল কখনোই গ্যাস পাচ্ছি না। অন্তত এক বেলা পেলেও তো রান্না করে খাওয়া যায়। সব সময় লাকড়ি দিয়ে রান্না করাও সম্ভব না। গ্যাস বিল তো ঠিক মতোই দিচ্ছি। কিন্তু গ্যাস তো ঠিক মতো পাচ্ছি না।
আবাসিকে গ্যাস সঙ্কটের কথা স্বীকার করছে তিতাস। তাদের দাবি, শীতে সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারণেই এই সঙ্কট। এ মাসের ১৯ তারিখের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস তাদের।
বিবার্তা/মাসুম
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত