ব্যালন ডি’অর জিততেই ফ্রান্সের হয়ে কম খেলছেন এমবাপ্পে?
ফ্রান্স ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন কিলিয়ান এমবাপ্পে এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। দিদিয়ের দেশমের ঘোষিত ফ্রান্স দল থেকে এমবাপ্পের ছিটকে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল। সে সময় এমবাপ্পের দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে চোঁটের কথা জানিয়েছিলেন দলটির কোচ দিদিয়ের দেশম।
তবে প্রায় কাছাকাছি সময়ে লিলের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে এবং রিয়াল–ভিয়ারিয়াল ম্যাচের একাদশেও ছিলেন এমবাপ্পে। চোঁটের কারণে দেশমের নেশনস লিগের দলে জায়গা না পাওয়া এমবাপ্পে ঠিকই খেলেছেন ক্লাবের হয়ে। আর তখন থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ফ্রান্সের অনেক সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, এমবাপ্পে নিজেই নাকি ফ্রান্সের হয়ে নেশনস লিগের ম্যাচ দুটি খেলতে চাননি। অনেকে সমর্থকেরই অভিযোগ, রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপ্পেকে নেশনস লিগে না খেলানোর অনুরোধ করেছে। তবে এসব গুঞ্জন উড়িয়ে দেন দিদিয়ের দেশম। ফরাসি এই কোচ বলেন, এই দুই ম্যাচে এমবাপ্পে নিজে থেকে ছুটি নেননি বা রিয়াল মাদ্রিদেরও এ ব্যাপারে কোনো চাহিদা ছিল না। এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ নিজের বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমবাপ্পেকে না রাখার জন্য কেউ কোনো অনুরোধ করেনি।
এমবাপ্পেকে নিয়ে কোচ দেশমের এমন মন্তব্যে পরও থামছে না বিতর্ক। বরং সুইডেনের এক গণমাধ্যমের খবরে আরো চটেছে ফ্রান্সের সমর্থকেরা। গনমাধ্যমটির খবর অনুযায়ী, এমবাপ্পেকে দেখা গেছে সুইডেনের এক নৈশ ক্লাবে। চারিদিকে আবারো শুরু নতুন বিতর্ক। তবে এই বিতর্কে অবশ্য সতীর্থদের পাশে পেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই খেলোয়াড়।
নৈশ্য ক্লাবের বিতর্ক শেষ হতে না হতেই আরো বড় বিতর্ক সামনে এসেছে। ফুটবলভিত্তিক ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফুট মেরকাতোর খবর অনুযায়ী, এমবাপ্পে নাকি দেশমকে বলেছেন—তিনি ফ্রান্সের হয়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোই খেলতে চান। এই মুহূর্তে তার চোখ ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অরে। আর যেহেতু এখন অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার চাপ আছে, তাই ফিট থাকতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
নেশনস লিগের দলে না থাকা, ইসরায়েল ম্যাচের সময় নৈশ্য ক্লাবে সময় কাটানো নিয়ে ইতিমধ্যে ফ্রান্স ফুটবলে বেশ সমালোচিত এমবাপ্পে। এর মধ্যে এমবাপ্পে কেবল ব্যালন ডি অরের জন্য জাতীয় দল থেকে নিজেদে দুরে রাখার এ খবর যদি সত্যি হয়, তবে ফ্রান্স ফুটবল ও এমবাপ্পের জন্য আরো বড় অস্থিরতা অপেক্ষা করছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত