জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডে রংপুর অঞ্চলের সেরা দশে হাবিপ্রবির ৩ জন

১৫তম জাতীয় স্নাতক (অনার্স) গণিত অলিম্পিয়াডের রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) তিনজন শিক্ষার্থী। 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের এ বাছাইপর্বের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বেরোবির একাডেমিক ভবন-২ এ। হাবিপ্রবির তিনজন ছাড়াও সেরা দশে স্থান পেয়েছেন বেরোবি’র ৫ জন এবং সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির (বাউস্ট) ৩ জন শিক্ষার্থী। 

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বাউস্ট এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আদিত্য বণিক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবির সঞ্জীব কুমার দেব শর্মা এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন বাউস্ট’র সিএসই বিভাগের নূর এ আলম।

হাবিপ্রবি থেকে যথাক্রমে সপ্তম এবং নবম স্থান অধিকার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কাবির আবদুল্লাহ ও রত্না ঘোষ দিশা এবং দশম স্থান অধিকার করেন গণিত বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত। গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। এ সময় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কাবির আবদুল্লাহ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, যেকোনো জয়ই সামনের দিকে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। অনেক বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে। অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি বিদেশে স্কলারশিপ এবং গবেষণায় মেধার স্বাক্ষর রাখছে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ। এমন অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

এবারের প্রতিযোগিতায় বেরোবি, হাবিপ্রবি, বাউস্ট, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের মোট ১৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১০ জন করে নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তীতে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে, দেশব্যাপী স্নাতক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।