কিশোর বয়সে প্রেম ও বিয়ে, অতঃপর যা ঘটল
মোবাইলে কিশোর প্রেম এবং পরে অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই সেই প্রেমের করুণ পরিণতি হয়েছে। স্বামীর বাড়িতে কিশোরী ওই বধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পোদ্দারবাড়ী (গোপীনাথপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে মোমেনি আক্তার (১৫) নামের ওই কিশোরী বধূর লাশ উদ্ধার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
মোমেনি আক্তার টাঙ্গাইল সদরের করটিয়া ইউনিয়নের বীর কুইশা গ্রামের মৃত আবু বক্করের মেয়ে। তার কিশোর স্বামী অটোচালক আমিনুল ইসলাম (১৯) একই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। এ ঘটনায় মোমেনির মা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আমিনুলকে আটক করে।
মোমেনির ভগ্নিপতি আক্তার হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া জন্মসনদে দেখা যায়, মোমেনির জন্ম ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। এখন বয়স ১৫ বছর। আমিনুরের জন্ম ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মোমেনির সঙ্গে আমিনুরের প্রেম কেউ মেনে নিতে চায়নি। বাধ্য হয়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পরিবার রাজি হয়। কিন্তু সুখের পরিবর্তে মোমেনি কষ্টের মধ্যে ছিল। মোমেনিকে মেরে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ফাঁসিতে আত্মহত্যার আলমত দেখা যায়নি। ঘরের পরিবেশ ছিল অগোছালো। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীর শাস্তি দাবি করছি আমরা।
এদিকে আমিনুলের পরিবার থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, মোমেনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিন দিন ধরে গোসল না করা এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করায় গত শুক্রবার এ নিয়ে শাসন করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন আমিনুল। তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, আমিনুর টাঙ্গাইল শহরে একটি ফুচকার দোকানের সহকারীর কাজ করত। ওই সময় মোমেনির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে পারিবারিক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা বিয়ে করে। শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় বলে জানা গেছে। এরপর মেয়েটির মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত