নাকুগাঁও স্থলবন্দরে এইচএমপিভি প্রতিরোধে নেই সতর্কতা

| আপডেট :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪  | প্রকাশিত :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪

ভারতসহ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়লেও তা প্রতিরোধে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা এই বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত ও ভুটানে দেদারসে যাতায়াত করছেন।

বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপাররা দুই দেশে আসা-যাওয়া করছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও মৌখিকভাবে সচেতন করে যাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, স্থলবন্দরের গেটে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন। বন্দরের ভেতরে কর্মকর্তা বসে আসেন। কিন্তু কোনো রুম কিংবা বাইরে এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। কাগজপত্র সঠিক থাকলে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন।

স্থানীয় অনেকেই বলছেন, তারা এ ভাইরাসের সম্পর্কে অবগত নন। আবার অনেক সচেতন নাগরিক বলছেন, এই ভাইরাস যেহেতু ভারতে শনাক্ত হয়েছে, সেহেতু এই বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।

হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ভারতের পাসপোর্টধারী যাত্রী আকরাম হোসেন বলেন, আমার এক ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি এই ভাইরাসের নাম। আবার আমি বিভিন্ন খবরেও দেখেছি নতুন এই ভাইরাসের নাম। যদি করোনার মতো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তো মুশকিল হয়ে যাবে। এজন্য আগে থেকেই সতর্কতার সঙ্গে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি মনে করি।

আরেক যাত্রী সাব্বির আহম্মেদ বলেন, আমি মাস্ক সবসময় ব্যবহার করি এবং পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করি। তাই এসব ভাইরাস আমাদের শরীরে আসবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর বলেন, এমন নাম শুনি নাই এখনো। করোনা ভাইরাসের নাম শুনেছিলাম। করোনার সময়তো এই বন্দর বন্ধ ছিল। যদি নতুন করে এই ভাইরাস আসে, তাহলে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বন্দরের ভেতরে কিংবা বাইরে পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।

নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো ওইভাবে কোনো পদক্ষেপ নেই। কারণ, কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফলে এই বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি নির্দেশনা নেই, সেহেতু মৌখিকভাবে সচেতন করে যাচ্ছি। যদি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কোনো নির্দেশনা দেন, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পায়নি। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই সেভাবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করবে। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসে কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে সাধারণত জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। শরীরে কিছু ব্যথা অনুভব হয়। এটি অন্য জ্বরের মতো। শিশু, বয়স্ক এবং যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত