বুলডোজার দেখে তেড়ে আসে নেতানিয়াহুর যুদ্ধবিমান, অতঃপর…
গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি বুলডোজারে হামলা চালায়। এ ঘটনায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ হামলা হয়।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ হামলা ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির নতুন লঙ্ঘন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে নুওয়েইরি এলাকায় আটকে থাকা একটি গাড়িকে সহায়তা করার সময় বুলডোজারটিতে বোমা ফেলে ইসরায়েলি বিমান। বোমা ফেলার ধরনে মনে হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা করেছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এতে বুলডোজারের চালক নিহত এবং অন্যরা আহত হন।
ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা উপত্যকায় ফিরে আসতে শুরু করার পর থেকে এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা। এর আগে, উপকূলীয় আল-রশিদ সড়ক দিয়ে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন ফিলিস্তিনি তরুণী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হন।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি এবং তাদের যানবাহনের উপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, ফিলিস্তিনিরা অননুমোদিত অঞ্চলে প্রবেশ করায় গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।
প্রসঙ্গত, উত্তর গাজায় লাখো উদ্বাস্তু ফিরছেন। অথচ তাদের ঘরবাড়ি বলে কিছুই নেই। ইসরায়েলি আগ্রাসনে সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে ফিরেও স্বাধীনতার স্বাদ এখনই পাচ্ছেন না গাজাবাসী। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের ইসরায়েলি বিধিনিষেধে দিন কাটাতে হতে পারে। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি বর্ষণের ঘটনা এরই আভাস দিচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত