সংখ্যালঘু সমস্যা সমাধানে ‘পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা’ দাবি হিন্দু মহাজোটের

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু সমস্যার’ স্থায়ী সমাধানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সংগঠনটি মনে করে, পৃথক নির্বাচন হলে সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় হিন্দু মহাজোট (একাংশ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে হিন্দুদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোনো গঠনমূলক সুপারিশ না থাকা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রস্তাব না থাকার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের (একাংশ) নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল। পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। এর মধ্যে হিন্দু ১০ শতাংশ। বৌদ্ধ ও খিস্টান ২ শতাংশ। সংসদীয় আসন ৩৫০ হলে সে অনুপাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ৪২টি আসন সংরক্ষণ করতে হবে। এর ৩৮টি হিন্দুদের জন্য, তিনটি বৌদ্ধদের ও একটি খ্রিস্টানদের জন্য থাকতে হবে। এগুলোতে পৃথক নির্বাচন হতে হবে।

হিন্দু মহাজোটের (একাংশ) সভাপতি দীনবন্ধু রায় বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের আর কোনো দাবি নেই। তাদের এই দাবি মানা না হলে ভোট বর্জন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি নিতাই দে সরকার, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বনাথ মোহম্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর কুমার বর্মন ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা প্রতিভা বাক্চী।

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দেশীয় ও বৈদেশিক রাজনীতির ‘গ্যাঁড়াকলে’ পিষ্ট হয়ে আজ অস্তিত্বহীনতার মুখোমুখি। ‘মাইনরিটি কার্ড’ এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ট্রাম কার্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে ভোট বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। অথচ সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা কেউ বলছে না। 

তারা আরও বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এক ভীতিময় পরিবেশে বসবাস করছে। প্রতিনিধিত্বহীনতায় হিন্দু জনসংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। ৩৩ শতাংশ থেকে কমে তা এখন ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর অবসান ঘটাতে হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত