আউটসোর্সিং কর্মীদের আলটিমেটাম
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত আউটসোর্সিং কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।
সেই সঙ্গে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বিনা কারণে পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এ সময় দ্রুত সময়ে যাদের নেতৃত্বে সমাবেশে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে, তাদের বিচারের দাবির পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে যদি দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে সারা দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-পরিদপ্তরে কর্মরত সব আউটসোর্সিং কর্মচারী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এ সময় প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে শনিবার বেলা ৩টার পর চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা। এতে তোপখানা সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে পুলিশ মাইকে বারবার আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর অ্যাকশনে যায় পুলিশ। ওই সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান থেকে পানি ছোড়ার পাশাপাশি পাঁচ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত