৪৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোটে নির্বাচিত হবে নগর কমিটি

| আপডেট :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১  | প্রকাশিত :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১

খুলনায় এ প্রথম সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সার্কিট হাউসে সকালে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত ভোটে নির্বাচিত হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। প্রধান তিনটি পদে ১২ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। ভোট দেবেন নগরীর পাঁচ থানার ৫০৫ কাউন্সিলর। 

প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছর পর এ প্রথম সরাসরি ভোটের মাধ্যমে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণ হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে খুলনা বিএনপির মধ্যে। তবে এবারও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও  বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী বিএনপি নেতাদের দেখা যেতে পারে।

দলীয় কার্যালয় থেকে জানা যায়, মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির এবং দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সাহাজী কামাল টিপু প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।

সাংগঠনিক সম্পাদক ছয় প্রার্থী হলেন- মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সাদী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শের আলম সান্টু, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ ও তারিকুল ইসলাম তারেক। এর মধ্যে তারেক ছাড়া বাকিরা বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ তার অনুসারীদের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না। কাউন্সিল ঘিরে তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে মহানগর শাখা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভাপতি পদে শফিকুল আলম মনা ও তরিকুল ইসলাম জহিরের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে শফিকুল আলম মনা রাজনীতিতে আসেন। যুবদলের রাজনীতি শেষে দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং সর্বশেষ খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীর পাশে ছিলাম। কর্মীরা ত্যাগী ও যোগ্য নেতা চিনতে ভুল করবেন না বলে বিশ্বাস করি।

আর তরিকুল ইসলাম জহির মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। 

জহির অভিযোগ করেন, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাউন্সিলর তালিকা তৈরি করেছেন। অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া প্রার্থী হয়েও তারা দুজন দলীয় পদ ও প্রভাব ব্যবহার করে থানার নেতাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন। আমরা ভোট চাইতে গেলে তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি না। তারপরও ভোটে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

সাধারণ সম্পাদক পদে শফিকুল আলম তুহিন ও নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে কর্মীরা ধারণা করছেন। তুহিন মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব। কর্মীরা যোগ্য ব্যক্তিকেই নেতা নির্বাচন করবেন বলে বিশ্বাস করেন তুহিন।

নাজমুল হুদা সাগর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাগর বলেন, থানার নেতাদের জোর করে সদস্য সচিবের পক্ষে প্রচার চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এখনো ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, নমুনা ব্যালট পাইনি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত