পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকি আক্তারসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাকিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত একটায় এই বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, শাহবাগ নো মোর’, ‘ল তে লাকি, তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘আমার ভাই কবরে, লাকি কেন বাহিরে’, ‘আমার সোনার বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই’, ‘শাহবাগ না জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, শাহবাগের কবর দে’, ‘শাহবাগী হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, চব্বিশের বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তারা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের পুলিশ ভাইদের ওপর হামলা করেছে। আমরা বেঁচে থাকতে এই বাংলাদেশে শাহবাগীদের স্থান হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু কুখ্যাত শাহবাগীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। এই বাংলাদেশে আমরা কোনোদিন শাহবাগীদের পুনরুত্থান মেনে নেব না। আমাদের ছাত্রসমাজের দেহে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না।
শাহেদ ইমন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, যখন এই ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, ঠিক তখনই এই শাহবাগীরা ষড়যন্ত্র করতে নেমে এসেছে। যেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আনা হয়েছিল সেই সংস্কৃতি মাড়িয়ে আমরা শাহবাগীদের বিচার করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। হয় শাহবাগীরা থাকবে না হয় আমরা দেশের আমজনতা থাকব।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, শাহবাগীরা দেশের আইন-শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করার জন্য পুলিশের ওপর হামলা করেছে। অতি দ্রুত লাকিসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাসিনা থেকে শিক্ষা নেন। না হলে আর একটি গণঅভ্যুত্থান দেখতে পাবেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত