দুর্ধর্ষ সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ গ্রেপ্তার
রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসী মামলায় সেই প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজ ওরফে মিনহাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫মার্চ) ‘দুর্ধর্ষ এক প্রতারকের নাম আশরাফুজ্জামান মিনহাজ’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নতুন নতুন কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ কামান তিনি। সুবিধা অনুযায়ী কখনো নিজেকে পরিচয় দেন কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক। আবার কোথাও বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। বর্তমানে নিজেকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর দাবি করেন। নিজেকে বিত্তবান পরিচয় দিয়ে সুইস ব্যাংকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার গচ্ছিত আছে বলেও দাবি তার। বিসিএস ক্যাডার ‘কথিত’ স্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার আসামি করে আবার ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মূল পেশা। প্রতারক মিনহাজ ও তার স্ত্রীর এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, আশরাফুজ্জামান নামের এই প্রতারকের উত্থান ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগেই তার পরিবারের এক সদস্যকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মিনহাজ। এরপর ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তার পরিবারের জামাই পরিচয় দিয়ে সচিব, পুলিশ, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন তিনি। নিজে পুলিশ, আমলা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে মামলায় ফেলে আবার মামলা থেকে বাঁচানোর নামে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে টাকা আদায় তার প্রধান পেশা হয়ে ওঠে। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের বিপদে ফেলেও টাকা নেন তিনি। অপরাধ করতে যখন যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের পরিবারের জামাই পরিচয় ব্যবহার করার ঘটনা জানতে পেরে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান সাহারা খাতুন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত