ইসরায়েলের বিপুল যুদ্ধযান ধ্বংস করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা

| আপডেট :  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২  | প্রকাশিত :  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২

ফিলিস্তিন ও লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের এবারের যুদ্ধ ইহুদি সেনাদের জন্য ডেকে এনেছে ইতিহাসের চরম বিপর্যয়। এর আগে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি জায়নবাদী সেনাদল। এবারের যুদ্ধে ফিলিস্তিন ও লেবাননের যোদ্ধাদের হাতে বিপুল সেনা হারানোর পাশাপাশি নিজেদের সামরিক সরঞ্জামেরও নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতি দেখছে তারা। সম্প্রতি ইসরায়েলি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এসবের চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়থ আহরনথ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজেদের বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও এপিসি মেরামতে প্রতিরক্ষা শিল্পের কোম্পানিগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে আইডিএফ। এর আগে এসব সামরিক যানের মেরামত বিশেষভাবে আইডিএফের টেকনোলজি অ্যান্ড মেইনটেনেন্স কর্পসের অধীনে করা হতো। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো সামরিক যান মেরামতের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে। আগামী মাসে এই দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। এ সময় সাঁজোয়া যান উৎপাদনের একটি অংশ স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না সে ব্যাপারেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলের বিপুল পরিমাণ সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মেরামত করার সক্ষমতা বর্তমানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে নেই। ফলে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে স্থানীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে। এমনকি এসব সরঞ্জাম মেরামতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছাড়াও যেসব স্বেচ্ছাসেবকরা ইসরায়েলি বাহিনীকে সহায়তা করতো তাদের নিয়োগ করেও সমস্যা সমাধান করতে পারছে না আইডিএফ। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ইয়েদিয়থ আহরনথ-এর প্রতিবেদনে।

জানা যায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো তাদের উৎপাদন আগের তুলনায় তিনগুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। যাতে সামরিক বাহিনীর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ স্থির রাখা যায়। এমনকি যুদ্ধের পরও সামরিক সরবরাহ একই হারে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরায়েলি সরকারি প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধ শেষ হলে আইডিএফ-এর সব সাঁজোয়া যান আবারও পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য প্রায় এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। বিপুল পরিমাণ সাঁজোয়া যান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এগুলো মেরামতে প্রচুর খুচরা যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হবে। যার কারণে এসব মেরামতে বছরব্যাপী সময় লাগতে পারে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত