পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যের জবাব গণঅধিকার পরিষদের

| আপডেট :  ২৫ মে ২০২৫, ০২:৩৫  | প্রকাশিত :  ২৫ মে ২০২৫, ০২:৩৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের একটি বক্তব্যের নিন্দা জানায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ওই প্রতিবাদের জবাব দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

রোববার (২৫ মে) গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. নাজমুল করিম খানের সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং তিনি পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদের বিষয়ে জবাব দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূলত গত ৯ মে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গণমিছিল শুরু হলে পুলিশ হামলা করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন এবং সেদিন নুরুল হক নুরের মোবাইলসহ ২৩টি মোবাইল ছিনতাই হয়। হামলার প্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নুরুল হক নুরের খণ্ডিত বক্তব্য প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। যে কারণে কোন প্রেক্ষিতে নুরুল হক নুর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা জানতেন না পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন তাদেরকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে অবহিত করলে, তারা জানিয়েছেন তাদের এই বিষয়ে জানা ছিল না। 

বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানিয়েছে, গণঅধিকার পরিষদ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রোগ্রামে তো গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো পুলিশ বাঁধা দেওয়ার কথা না। তাহলে কারা হামলা করলো, বাঁধা দিলো? আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রোগ্রামে হামলাকারী পুলিশ কোনোভাবেই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উচিত ছিল একপাক্ষিক বিবৃতি না দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার পর বিবৃতি প্রদান করা এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিন্দা প্রকাশ ও হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করা।

গণঅধিকার পরিষদ পুলিশকে জনগণের বন্ধু মনে করে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জামানায় যেসব পুলিশ সদস্যরা চাকরিচ্যুত ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে, আমরা সবসময় তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছি। আমরা মনে করি, পুলিশের মধ্যে সংস্কার প্রয়োজন। পুলিশ আর কখনোই দলীয় বাহিনীর মতো আচরণ না করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে। যেকোনো জনবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশে গণঅধিকার পরিষদ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত