ইসরায়েলের ৭০ সেনা হত্যার দাবি লেবাননের যোদ্ধাদের
লেবাননে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে প্রায় হোচট খাচ্ছে ইসরায়েলে সেনারা। এবার দেশটির ৭০ সেনা হত্যার দাবি করেছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার হিজবুল্লাহর অপারেশন রুম জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি বিবৃতি ৫৫ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল তারা।
বিবৃতিতে সেনা হত্যার কথা বলা হলেও কোনো জায়গার কথা জানায়নি। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থল অভিযান শুরুর পর লেবাননের অভ্যন্তরে তারা প্রায় ২০ জন সেনা হারিয়েছে। এ ছাড়া উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ হামলায় প্রায় ৩০ সেনা নিহত হয়েছেন।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য। গত এক বছরে বিশ্বে অনেক বিপদের মুহূর্ত এসেছে। তবে এবারেরটি সবচেয়ে ভয়াবহ। সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। অন্যদিকে তেহরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেলআবিব।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর পক্ষ থেকে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। গত এক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কারণে মূলত এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় লেবাননের বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেক আবাসিক ভবন ধসে পড়ে। মাটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। আকাশ ধুলাবালি ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পুরো লেবানন থেকে ওই দৃশ্য দেখা যায়। এ হামলা হয় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর বাংকার লক্ষ্য করে। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের এক সপ্তাহ ধরে চালানো হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর আসে।
তারও এক সপ্তাহ আগে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে পর পর অসংখ্য ওয়াকি-টকি এবং পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং তিন হাজার জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত