বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

| আপডেট :  ২৭ জুন ২০২৫, ১২:৩১  | প্রকাশিত :  ২৭ জুন ২০২৫, ১২:৩১

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাতের কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওয়তায় খারনৈ ইউনিয়নে ১৯৪ জন উপকারভোগী রয়েছেন। পূর্বের কার্ডধারীরা বিগত ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪ মাস প্রত্যেক উপকারভোগী ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন। সরকার ভিজিডি কর্মসূচি পরবর্তী ছয় মাসের জন্য ভিডব্লিউবি কর্মসূচির নামে বর্ধিত করেন। 

ভিজিডি কার্ডে ২৪ মাসের বেশি স্বাক্ষর বা টিপসইয়ের স্থান না থাকায় তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের মাস্টাররোলের মাধ্যমে বিতরণের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রত্যেক উপকারভোগীদের বিতরণের জন্য পাঁচ মাসের চাল উত্তোলন করেন।

খারনৈ ইউনিয়নের বাসিন্দা উপকারভোগী মমতা, পারুল, অর্পা, আকলিমা, ছালমা, শাহারা, কুলছুমা, হনুফা, খুদেজা, পারভীনসহ বেশ কয়েকজন উপকারভোগী জানান, সরকারি চাল পাঁচ বস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছেন চার বস্তা। এর মধ্যে ৩০ কেজি ওজনের বস্তা দুটি ও বস্তা ভেঙে ১০ কেজি বালতি দিয়ে ছয়টি করে ৬০ কেজি পেয়েছেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ওবায়দুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল বিতরণ শেষ করে ফেলছি। এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার তারিকুল ইসলাম জানান, ছয় মাসের মধ্যে পাঁচ মাসের চাল উত্তোলন হয়েছে। আর এক মাসের বাকি আছে। এ রকম কোনো অভিযোগ আমার আছে আসেনি। আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাব। তবে ভিজিএফের’ চাল ভিডব্লিউডিতে দেওয়ার সুযোগ নেই।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কালবেলাকে বলেন, ভিডব্লিউডির চাল কেউ তিন বা চার বস্তা পাওয়ার কথা না। এ ছাড়া চাল ভেঙে দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত