গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন ট্রাম্প

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫  | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা যায়, সুখবর দিলেন অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের। তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। 

শনিবার (২৮ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ট্রাম্প বলেন, গাজায় এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদী বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি এখন খুবই কাছাকাছি। আমি সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হবে। তবে তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বা কী ধরনের আলোচনা হয়েছে—সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হামলার কারণে আমরা খুব শিগগিরই কিছু ভালো খবর পাব… গাজায় ‘যুদ্ধবিরতি’ শিগগিরই।

এদিকে গাজায় সীমিতপরিসরে ত্রাণ কার্যক্রমের অনুমতি মিলেছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, উপত্যকায় বিতরণ করা আটার ব্যাগের ভেতরে ‘অক্সিকোডোন’ মাদকযুক্ত ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। মার্কিন ও ইসরায়েলি সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিরতণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত অন্তত চার নাগরিক আটার ব্যাগের ভেতরে এই মাদক ট্যাবলেট পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে এসব মাদক গুঁড়ো করে বা গলিয়ে আটার মধ্যেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ক্ষতিকারক।

গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যার ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এই নেশাদ্রব্য ছড়িয়ে ফিলিস্তিনি সমাজকে ভেতর থেকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। ব্লকেড ও অবরোধ পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর আড়ালে মাদক পাচারের মতো যুদ্ধাপরাধ করছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে মাদককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ইসরায়েলের নোংরা যুদ্ধনীতির অংশ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ভয়াবহ অপরাধ।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত