সরকারি কর্মচারিদের যে দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে

| আপডেট :  ১৯ মার্চ ২০২২, ০৫:১৯  | প্রকাশিত :  ১৯ মার্চ ২০২২, ০৫:১৯

পে-কমিশন গঠন করে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা এবং পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

শনিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানান ঐক্য পরিষদদের মুখ্য সচিব মো. ওয়ারেছ আলী।

পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা; সচিবালয়ের মতো সকল দফতর, অধিদফতরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা; টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থানে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ করা ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করা; আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা। ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা এবং বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে সকল ভাতা পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে থেকে ওয়ারেছ আলী বলেন, আমাদের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর আহ্বান জানাই। আগামী ২০ মে’র মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ২৭ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, মো. লুৎফর রহমান, জিয়াউল হক প্রমুখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত