ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে ৯৫ শতাংশ

| আপডেট :  ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪  | প্রকাশিত :  ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বলা হচ্ছে, তার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। দোদুল্যমান রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে ৫ শতাংশে নেমেছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান যাচাই করে নিউইয়র্ক টাইমস এ পূর্বাভাস তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে তার জয়ের সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৬৭। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ভোট। 

নিউইয়র্ক টাইমসের পূর্বাভাস আরও বলছে, ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এবং কমলা ২৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৬টায়। এরপর ধাপে ধাপে সব রাজ্যে শুরু হয়। দেশটিতে রাজ্যভেদে সময়ের ব্যবধান এবং একেক রাজ্যে একেক সময় ভোটগ্রহণ শুরুর সময় নির্ধারিত থাকায় শেষের সময়েও পার্থক্য হয়েছে। ঠিক এ কারণেই কিছু রাজ্যে ভোট গণনা দেরি হচ্ছে।

দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে।

নির্বাচনের জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য। সেগুলো কোনো দলের সুনির্দিষ্ট ঘাঁটি নয়। এসব অঙ্গরাজ্য হলো—নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। বাকি রাজ্যগুলো রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক দলের ঘাঁটি। সেসবে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট একটি দলই জিতে আসছে। এবার দোদুল্যমান রাজ্যে ট্রাম্প খুব ভালো অবস্থানে রয়েছেন। ইতিমধ্যে দুটিতে জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার ইউনিট। রয়েছে কয়েক স্তরের গোয়েন্দা সতর্কতা। ভোট শেষেও বেশ কয়েক দিন এ ধরনের নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে কমলা এখনও হাল ছাড়ছেন না। তার প্রচার শিবিরের সহ-সভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমাদের এখনও ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এখনও এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা রাতেও লড়াই চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি ভোট গণনা হয়। প্রতিটি কণ্ঠস্বর যাতে নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং আপনি (সমর্থক) আজ রাতে ভাইস-প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ভাষণ শুনতে পাবেন না। তবে আগামীকাল তিনি ভাষণ দেবেন।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত