২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ৬৫, লেবাননে ২৭
গাজা ও লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৬৫ জন ও লেবাননে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮৫ জন। দেশটির এ হামলায় লেবাননের নাবাতিয়েহ শহরের মেয়রও নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে দুহাজার ২৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ হাজার ১০৯ জন। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪০ জন।
এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৪০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু রয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৫ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১০ হাজার। দেশটির এ হামলায় গাজায় আরও অন্তত ৯৯ হাজার ১৫৩ জন আহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এ জন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে… দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত