জাল সনদে চাকরি, প্রমাণ মিললেও এখনো প্রধান শিক্ষক

| আপডেট :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৪  | প্রকাশিত :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৪

জাল সনদে চাকরি নেওয়াসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ মিললেও যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও এর আগে ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার খাতা চুরির দায়ে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে ওই শিক্ষককে তিন বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই অভিযোগে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।

জানা গেছে, জাল সনদে চাকরি নেওয়াসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়। বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক এই অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্র্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে তিনি ২০১৬ সালের জুনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলম জানান, ২০০৯ সালের দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বারিধারা ক্যাম্পাস থেকে শহিদুল ইসলাম ইংরেজিতে মাস্টার্স পাশ করেন বলে দাবি করেন। অথচ ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির বারিধারা ক্যাম্পাসের অনুমোদন মঞ্জুরি কমিশন থেকে ছিল না। শার্শা সদর ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা জানান, সরকার জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করলেও প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম রেজিস্ট্রেশেন ফি আদায় করেন। বিদ্যালয়ের ইট, বালি ও খোয়া নিজ বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করে ধরা পড়েছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, বই ও পরীক্ষার খাতা বিক্রির সুস্পষ্ট অভিযোগও রয়েছে।

তবে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের আনীত কোনো অভিযোগের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’

শার্শা উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ সংশ্লষ্টি দফতরে পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত