মাদ্রাসা অঙ্গনের ২০৬ পিএইচডি-এমফিল ডিগ্রিধারীকে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সংবর্ধনা

| আপডেট :  ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭  | প্রকাশিত :  ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭

দেশের মাদ্রাসা অঙ্গনের ১৩১ জন পিএইচডি এবং ৭৫ জন এমফিল ডিগ্রিধারী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সম্মাননা জানিয়েছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম।

ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশ্যে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, অনেক শ্রমের ফল হলো একটি ডিগ্রি। তবে এসব ডিগ্রি এবং গবেষণা যাতে দ্বীনের জন্য কাজে আসে এটা মাথায় রাখতে হবে। এমন বিষয়ে মাঝে মাঝে গবেষণা করা হয় যেটি নিয়ে হাসাহাসি হয়। বরং যুগের চাহিদা, উম্মার চাহিদার প্রতি দৃষ্টি রেখে সেসব বিষয়ের ওপর গবেষণা করেন, ডিগ্রি অর্জন করেন। আপনাদের গবেষণা, প্রবন্ধ, লেখা যাতে প্রত্যেক মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ড. শামছুল আলম বলেন, গবেষণা ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি উন্নত হতে পারেনি। ইউরোপ-আমেরিকা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার অন্যতম কারণ গবেষণা। প্রতিবছর যে নোবেল দেওয়া হয় তা উন্নত বিশ্বের লোকেরা পায়। কারণ তারা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। এজন্য গবেষণা ও চিন্তা দরকার। শুধু ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার জন্য কিংবা মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে নামের আগে ডক্টরেট বসানোর জন্য যাতে ডিগ্রি অর্জন না হয়। গবেষণা এমন বিষয়ে করেন, এমন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন যা উম্মার জন্য, দ্বীনের জন্য কাজে লাগবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আমরা যে সমাজ চাই, যে সমাজের স্বপ্ন দেখি আগামী দিনে বাংলাদেশে সেরকম সমাজ হবে। ছায়ানট, উদীচী বা ৫৪ বছরের ভারতের হিন্দু সংস্কৃতির আদলে যে সমাজ গড়ার চেষ্টা হয়েছিল সেরকম কিছুই থাকবে না। তবে এর জন্য আমাদের আরও লড়াই করতে হবে, লড়াই করেই আমরা বিজয়ী হবো।

মাদ্রাসার ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশ্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, যারা মাদ্রাসা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদেরকে অবশ্যই বর্তমান জেনারেশনকে বুঝতে হবে, তাদের (নতুন জেনারেশন) চিন্তা-চেনতা কি এগুলো জানতে হবে। এগুলো নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা করতে হবে। মাদ্রাসার নিজস্ব ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গবেষণা করতে হবে। আগামী দিনের সমাজের রূপরেখা কিরকম হবে সেটা আপনারা তৈরি করেন। ছায়ানট, উদীচী তারা যে সমাজ তৈরি করেছে, ভাবনা তৈরি করেছে সেটি ভাঙার জন্য নতুন ভাবধারা দিতে হবে।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সহসভাপতি অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম আবুবকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সৈয়দ শরাফত আলী, মাওলানা আব্দুল লতিফ শেখ, অধ্যক্ষ মাওলানা মনোয়ার আলী, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মোর্শেদ আলম ছালেহী, অধ্যক্ষ মাওলানা এজহারুল হক, ড. মাওলানা ইদ্রিস খান, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আব্দুল বাতেন, ড. মাওলানা ইবরাহীম আনোয়ারী।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের আলিয়া মাদ্রাসা অঙ্গনের পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারীগণ এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বস্তরের নেতারা।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত