ইসরায়েলের মৃত্যু দেখছে ইরান

| আপডেট :  ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪  | প্রকাশিত :  ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়াম নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইরান। শুক্রবার দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এই মন্তব্য করেছেন। 

তিনি বলেন, আইসিসির পরোয়ানার অর্থ ইসরায়েল রাষ্ট্রের অবসান এবং রাজনৈতিক মৃত্যু। ইসরায়েল এমন এক রাষ্ট্র যা আজ বিশ্বে পুরোপুরি রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কর্মকর্তারা অন্য কোনো দেশে আর ভ্রমণ করতে পারেন না। 

ইরানের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় আইসিসির পরোয়ানা জারির ঘটনাকে ‘স্বাগত জানানোর মতো পদক্ষেপ’ এবং ‘ফিলিস্তিনি ও লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য মহান বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন সালামি। এদিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আন্তর্জাতিক এই আদালতের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেতানিয়াহু। 

এমনকি ইসরায়েলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা আইসিসির এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে।

ইসরায়েল আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার করে না। আর নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও জানিয়েছে দেশটি। তবে তাদের চলাচলের সুযোগ ঠিকই সংকুচিত হয়ে গেছে। আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি রোম সংবিধির আওতায় ১২৪টি দেশ রয়েছে। আর এসব দেশ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য।

তবে পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তিকে আইসিসির সনদে স্বাক্ষর করা দেশের গ্রেপ্তার না করারও নজির রয়েছে। এর আগে সুদানের ওমার হাসান আল-বশিরের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছিল। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানে গেলেও তাকে গ্রেপ্তার করেনি দেশ দুটি।

এছাড়া আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই কয়েক মাস আগে আইসিসির সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়া সফর করেছিলেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনকে সর্বোচ্চ আতিথেয়তাও দিয়েছিল চেঙ্গিস খানের দেশ।

নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। তবে এরই মধ্যে ইতালি জানিয়েছে, দেশটিতে পা রাখলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু। তবে হাঙ্গেরি নেতানিয়াহুকে সাদরে গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। যদিও মানবাধিকারের কথা বলা ইসরায়েলের বিভিন্ন ইউরোপীয় মিত্র দেশ তাকে নিয়ে চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত