ডায়াবেটিসের রোগীরা কি কুমড়া খেতে পারেন? 

| আপডেট :  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১  | প্রকাশিত :  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১

গরম ভাতের সঙ্গে মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ, ভাজা, ছক্কা বা তরকারি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্বাদে মিষ্টি এ সবজিতে রয়েছে অনেক গুণ। তবে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ সবজি খেতে পারবেন? 

চলুন এ প্রতিবেদনে সে উত্তর খোঁজা যাক 

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের সংক্রমণ, স্নায়ুর ক্ষতি এবং হৃদরোগের মতো আরও গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে রক্তে শর্করা গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এখন জানতে হবে কুমড়াতে কি পরিমাণ শর্করা থাকে?

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই হলো মানদণ্ড, যা নির্দেশ করে কোন খাবারের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জিএল হলো গ্লাইসেমিক লোড, যা গ্লাইসেমিক সূচক পরিমাপ করে। মূলত গ্লাইসেমিক লোড হলো একটি নির্দিষ্ট খাদ্য, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে।

এদিকে, কুমড়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭৫, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু এই সবজির গ্লাইসেমিক লোড ৩-এর কম। এটির উচ্চ জিএলের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খারাপ। 

তবে সুষম ডায়েটে কুমড়ার ছোট একটি টুকরো বা কোনো তরকারি রাখতে পারেন। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়াবে না।

এছাড়া, কুমড়াতে পলিস্যাকারাইড নামক কার্বোহাইড্রেট এবং পিউয়েরিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

যদিও কুমড়াতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তারা চাইলে অল্প পরিমাণে কুমড়া খেতে পারে। 

পাকা কুমড়ার তুলনায় কাঁচা সবুজ কুমড়াতে মিষ্টত্ব এবং শর্করার পরিমাণ কম। তাই কুমড়া খেতে চাইলে কাঁচা কুমড়ার তরকারি খেতে পারেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত