শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালেন প্রধান শিক্ষক
শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম আজহারুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাতক্ষীরা সদরের বল্লী মো. মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মুকুল এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মারপিটের শিকার শিক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরা সদরের ভাটপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে তনয় হোসেন (১৪)। সে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
শিক্ষার্থীর বাবা আজহারুল ইসলাম জানান, খুব তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে স্কুল চলাকালে তার ছেলেকে সবার সামনে বেধড়ক মারপিট করেছেন প্রধান শিক্ষক মুকুল। পরে তার সহপাঠীরা স্কুলে প্রতিবাদ করে। স্কুল থেকে ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, তুচ্ছ ঘটনা দিয়ে বেধড়ক মারপিটের ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা মাধ্যমিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জান মুকুল জানান, বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কেন্দ্র করে বিষয়টির সূত্রপাত হয়। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে শিক্ষার্থীকে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়। ঘটনাটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনেছেন, তাদেরকে আমি বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। তাছাড়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিলেন তার সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছি।
সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র জানান, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি জানামাত্র প্রধান শিক্ষককে ফোন করা হয়। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের সভাপতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়। শুনেছি ভুক্তভোগীর পরিবার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন, এ বিষয়ে অভিভাবকরা মিটমাট করে নিয়েছেন শুনেছি। তবে শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে বলা হয়েছে লিখিত অভিযোগ দিতে। অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আদরুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে সরকারি পাঠ্যপুস্তক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে চলতি বছরসহ পূর্ববর্তী বছরের সরকারি পাঠ্যপুস্তক বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান রেবেকা সুলতানা জানান, বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী একত্রে পাঠ্যপুস্তক বিক্রি করেছেন। আগের বছরের বইসহ বেশ কিছু বই বিক্রি করা হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিক্রি হয়েছে কিনা সে বিষয়টা জানা নেই। সব বই বস্তায় করে ক্রেতারা নিয়ে গিয়েছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজারুজ্জামান মুকুল।
তবে জেলা শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত