‘উই’ প্রকল্পের চূড়ান্ত লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

| আপডেট :  ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৫  | প্রকাশিত :  ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৫

ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘নারী নাগরিক সংগঠনগুলোর ক্ষমতায়ন এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণ (উই) প্রকল্প’-এর চূড়ান্ত লার্নিং শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের আমারি হোটেলে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ট্রেইডক্র্যাফট এক্সচেঞ্জের সহঅর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটি নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নেতৃত্ব এবং টেকসই উন্নয়নের এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির কনভেনর প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শামসুদ দৌজা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিসেস লায়লা জেসমিন বানু, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মিসেস জাকিয়া আফরোজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইকেল মিলার বলেন, উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা কেবল আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়নি, বরং তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব বিকাশের যে ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে তা টেকসই উন্নয়নের ও গণতন্ত্র চর্চার একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ও অপারেশনের প্রধান জহির-বিন-সিদ্দিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে নারীর ক্ষমতায়ন সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। SADIPATI  উইমেন কমিউনিটি স্টোর এবং ক্লিন কমিউনিটি সেন্টারের মতো উদ্যোগগুলো নারীদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।  

অনুষ্ঠানে উই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। SADIPATI উইমেন কমিউনিটি স্টোর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১০৫টি গ্রামীণ স্টোর পরিচালিত হয়েছে, যা নারীদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হয়েছে। এ ছাড়া ক্লিন কমিউনিটি সেন্টার-এর মতো উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পকে কীভাবে আরো কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে মতামত দেন।

অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন নারীর জীবন পরিবর্তনের গল্প শোনানো হয়, যারা উই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। তাদের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে, তারা এই প্রকল্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত