তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

| আপডেট :  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০২  | প্রকাশিত :  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০২

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা রাজধানীর আমতলী সড়ক অবরোধ করার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার। পরে তারা সড়ক ছেড়ে যান। 

তিনি জানান, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যারিকেড কর্মসূচি পালন করবেন তারা। রাজধানীর মহাখালীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, রেল গেট, আমতলী মোড়, গুলশান লিংক রোড এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।

মুক্তার বলেন, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। আমরা গতকালই আজকের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য বেলা ১১টা থেকে অবরোধ শিথিল করেছিলাম। সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফের অবরোধ ঘোষণা করছি। এর আওতায় থাকবে মহাখালী, রেল গেট, আমতলী ও গুলশান লিংক রোড। এর আগে আমরা বিশেষ বিবেচনায় আমাদের কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল থেকে আর শিথিল করা হবে না।

এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ’ বাংলাদেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে যোগ্যতা বিবেচনায় নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।

৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ভার মাথায় নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

এর আগে, তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই— শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এমন মন্তব্য ঘিরে সন্ধ্যা ৬টায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

 প্রসঙ্গত, একনেক মিটিং শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, আন্দোলন করা ভালো। তবে জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি দিতে হবে। তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চান। তারা জনদুর্ভোগ চান না। শিক্ষার্থীদের একসময় পরীক্ষায় বসতে হবে। পড়ালেখা না করে পরীক্ষা দিলে তাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সরকার অযৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত