ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি অভিশপ্ত : জয়নুল আবদিন ফারুক

| আপডেট :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭  | প্রকাশিত :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যে ৩২ নম্বর থেকে গুম খুনের নির্দেশ যেত তা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়েছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর একটি অভিশপ্ত বাড়ি। এই বাড়ি থেকে এমন কোনো অন্যায় নির্দেশনা নেই যা দেওয়া হয়নি। সংসদের সামনে আমাকে ডিবি হারুন নির্যাতন করে ওই বাড়িতেই সেই খবর পৌঁছে দিয়েছিল। 

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন এর উদ্যোগে অবিলম্বে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট কীভাবে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার কী করেন? সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা কী করেন। তার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হবে। তাদেরকে কোনোভাবেই ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা শুধু প্রশংসার দাবিদার না, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। 

প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি একজন ভালো মানুষ, প্রজ্ঞাবান মানুষ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে দেশ আরও গভীর সংকটে পড়ে যাবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন। দোসররা তখন আর কোনো সুযোগ নিতে পারবে না।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তার দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, অবিলম্বে নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন। গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত মানুষ এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপি সহতথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী খান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত