ছাত্রদল এখন ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে : আবু হানিফ
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, মঙ্গলবার খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) দেখেছি ছাত্রদলের লোকজন ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আপনাদের (ছাত্রদল) বলব বিগত ১৫ বছর ক্যাম্পাসগুলোতে আপনাদের দলের কার্যক্রম চালাতে পারেন নাই শুধু ছাত্র লীগের জন্য। আপনারাও ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে এ দেশের ছাত্র সমাজ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জে জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুরান থানা এলাকার আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ৬ মাস পার হলেও গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল তাদের দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে সেই দলটির নাম জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সেই নেতা ইতোমধ্যে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সরকারকে বলব দ্রুত আওয়ামী লীগের দোসর ও গণহত্যায় জড়িত এই নেতাকে আটক করা হোক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশে যে লুটপাট, দখলদারি, চাঁদাবাজি করেছিল সেই জায়গায় একটি দলের আবির্ভাব হয়েছে। তারা নব্যফ্যাসিবাদ রূপে আবির্ভাব হওয়ার চেষ্টা করছে। আপনারা বিগত সময়ে নির্যাতিত হয়েছে, জুলুমের শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করবেন না। চাঁদাবাজি, দখলদারি এখনো চলছে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। আমরা জেনেছি কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাট যেই চিনিকল ছিল সেখানকার বিভিন্ন মেশিনারিজ বিক্রি করার জন্য একটি অসাধু চক্র তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা আপনাদেরকে বলবো আওয়ামী লীগ কিন্তু সেই একই কায়দায় দেশে ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা চালু করেছিল। তাদের বাংলাদেশের মানুষ বিতাড়িত করেছে। এদেশের মানুষ সচেতন তাদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন মঙ্গলবার জুলাই গণহত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়েছিল। তাদের চেহারা দেখে মনে হয়েছে কারাগারে তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে দেখেছি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আদালতে তোলার সময় কাউকে হুইল চেয়ার, কাউকে পুলিশের কাঁধে ভর করে আদালতে আনা হতো। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাদের জামাই আদরে আদালতে তোলা হয়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু কী স্বাভাবিক নাকি পরিকল্পিত হত্যা সেটা তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানাই।
বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জের সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান আকন্দ উজ্জ্বল, যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, সদর উপজেলার সদস্য সচিব আল মাহমুদ মোস্তফা, গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমজান মিয়া, ছাত্র নেতা পায়েল চৌধুরী, রিপন রাজ প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত