সব তিক্ততা ভুলে রাশিয়াকে কাছে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান উল্টে দিয়ে ট্রাম্পের মুখে এখন মস্কোর প্রতিধ্বনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে দুটি ভিন্ন ভোটে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ব্রিটেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মৌখিক আপত্তি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘শান্তির পথ’ প্রস্তাব পাস করে।
এমনকি মঙ্গলবার জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দায়ও অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করে স্বাগত জানিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সমস্যা সমাধানে সত্যিকারের ইচ্ছারই প্রকাশ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে দ্রুত সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ সমাধান করা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন আপসপূর্ণ আচরণ মস্কোর কাছে হয়ত অপ্রত্যাশিতই ছিল। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো কিছুই আর অসম্ভব নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই যেখানে পশ্চিমা সমর্থন পেয়ে এসছে ইউক্রেন তাতে রাশিয়াকে কম ভুগতে হয়নি। এমকি এই যুদ্ধ এতদিন টিকে আছে সেটাও কিয়েভে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের কারনেই।
তাই এখন ট্রাম্প যখন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছেন এবং সব দোষ জেলেনস্কির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন তখন পুতিনের খুশি হওয়ারই কথা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান পরিবর্তনে তাই প্রশংসা করতে ভুলছেনা রাশিয়া। বিশ্বের সুপার পাওয়ার দুই দেশ হয়ত ভাবছে সব তিক্ততা পেছনে ফেলে এবার সামনে এগোনো যায়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত