কয়রায় নদীর তীর থেকে ৩ মণ হরিণের মাংস উদ্ধার

| আপডেট :  ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭  | প্রকাশিত :  ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭

খুলনার কয়রা উপজেলার জোড়শিং গ্রামের শাকবাড়িয়া নদীর চরে ৩ মণ ১০ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালিয়েছে শিকারিরা। সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে যৌথ অভিযানে এ মাংস উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুন্দরবন খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা, আংটিহারা কোস্টগার্ড ও আংটিহারা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এ মাংস উদ্ধার করে।

খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানা রঞ্জন পাল জানান, সুন্দরবন থেকে একদল শিকারি হরিণ শিকার করে মাংস লোকালয়ে নিয়ে আসছে বিক্রির জন্য। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যাই আমরা। কিন্তু শিকারিরা অভিযান জানতে পেরে জোড়শিং এলাকা সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীর চরে মাংসগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে টহল ফাঁড়িতে আনা হয়।

সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা ছদ্মবেশে মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ ধরার ফাঁদ পেতে সুন্দরবনে নির্বিকারে হরিণ শিকার করছে। পরে বন বিভাগের সদস্যদের চোখ ফাকি দিয়ে ফাঁদে আটকানো হরিণ জবাই করে মাংস কেটে লোকালয়ে বিক্রি করছে। তবে হরিণ শিকার বন্ধ না হলে প্রকৃতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।

খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রানী নিধন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস সোমবার সকালে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুমতিক্রমে আদালত চত্বরের মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে।  তবে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত