গাজায় কি সৈন্য পাঠাতে চেয়েছে বাংলাদেশ?
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে উত্তাল পুরো দেশ। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গাজায় বাংলাদেশের সৈন্য পাঠানোর একটি কার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ের সত্যতা যাচাই করেছে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
বৃহস্পতিবার ( ১০ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সম্প্রতি, ‘গাজার ছোট ছোট শিশুদের যারা হত্যা করছে, খুন করছে তাদের নির্মমতা বন্ধ না হলে প্রয়োজনে আমরা সৈন্য পাঠাতে বাধ্য হবো’ শীর্ষক মন্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দাবিতে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি প্রথম আলোও এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রচার করেনি। ভিন্ন প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো রয়েছে। এই সূত্রে অনুসন্ধান করে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে গত ০৯ এপ্রিল ‘বিশ্বকে বদলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ…বাংলাদেশ তা সম্ভব করেও তুলছে।’ শীর্ষক শিরোনামের একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনাম ব্যতিত বাকি সব উপাদানের মিল রয়েছে।
ফটোকার্ডটিতে থাকা শিরোনামটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। প্রথম আলোর মূল ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টের কমেন্টে এ সংক্রান্ত সংবাদের লিংকে প্রবেশ করে জানা যায়, গত ০৯ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস এই মন্তব্য করেন। তবে এই আয়োজনে এবং প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত