‘বন্ধুর’ স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দিনমজুরের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পরকীয়া অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী দিনমজুর সাইদ মিয়া।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি রৌমারী থানার কনস্টেবল এবং ওসির পুলিশ ভ্যানের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, ৮ বছর আগে রৌমারী উপজেলার মধ্য ইছাকুড়ি গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাওপুর গ্রামের সাইদ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতি রৌমারীর শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তাদের ঘরে পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকা হিসেবে ওই দিনমজুর রৌমারী এলসি পোর্টে পাথর ভাঙার কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতেন।
মাছ ধরার সুবাদে রৌমারী থানার কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় ওই দিনমজুর যুবক ভাড়া বাড়িতে পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান। তারপর পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর তার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর নেন। পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলতে চলতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি জানাজানি হলে দিনমজুর ভুক্তভোগী স্বামী রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী দিনমজুর কালবেলাকে বলেন, আমি পাথর ভাঙার কাজ করি। এ ছাড়াও নদীতে মাছ ধরি। মাছ ধরার সময় মোস্তাফিজুরের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তিনি প্রায় আমার সঙ্গে নদীতে মাছ ধরতেন। এ সুবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গরে ওঠে। পরে ওই পুলিশ সদস্য আমার ভাড়া বাসায় দাওয়াত খেতে আসছিলেন এবং আমার স্ত্রী সঙ্গেও পরিচয় হয়। পরে তারা দুজন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কথা হলে ভুক্তভোগীর স্ত্রী কালবেলাকে বলেন, আমার স্বামী অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বললে অবিশ্বাস করে। কারও সঙ্গে কথা বলতে দেন না। আমার স্বামীর সঙ্গে মোস্তাফিজ মাছ ধরতে যান। এ পরিচয়ে ভাবি হিসেবে কথা বলি। তবে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী মিথ্যা কথা বলছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমার মাছ ধরার অভ্যাস ছিল। এ সুবাদে তার সঙ্গে প্রায় দিন মাছ ধরতে যেতাম। পরে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ওই পুলিশ সদস্য জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত