বজ্রপাতে নিহতের পরিবারের পাশে পাটুখালী পায়রা যুব সংঘ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় ইউনিয়নের বজ্রপাতে নিহত রকিবের পরিবারকে একটি গাভী গরু উপহার দিয়েছে পাটুখালী পায়রা যুব সংঘ।
শুক্রবার (০৬ জুন) সংগঠনটির পক্ষ থেকে ওই পরিবারের হাতে এ উপহার তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১২ মে পায়রা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যান রকিব। ওই ঘটনায় পরিবারের একটি গরুও বজ্রাঘাতে মারা যায়। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় পরিবারটি গভীর সংকটে পড়ে।
পাটুখালী পায়রা যুব সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুঃসময়ে রকিবের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিতকাটা সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, পটুয়াখালী আদর্শ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন, পাটুখালী পায়রা যুব সংঘের উপদেষ্টা মো. তোফায়েল হোসেন মৃধা, পূর্ব বড় বিঘাই জনতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ও সংগঠনের সভাপতি মো. আল-আমিন দফাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান হাওলাদারসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
রকিবের পরিবারের সদস্যরা এ সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান, এই গরুটি তাদের পরিবারে বড় সহায় হয়ে উঠবে।
পাটুখালী পায়রা যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেন, মানবিক বিবেচনায় আমরা পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। এ সহায়তা যেন তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনে, সেই প্রত্যাশা করি। আমরা চাই, সমাজের অন্যান্যরাও এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হোক।
পাটুখালী পায়রা যুব সংঘের সভাপতি মো. আল-আমিন দফাদার বলেন, রকিব ছিল এক পরিশ্রমী ছেলে। তার পরিবার এখন দারুণ সংকটে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা চেয়েছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের তরুণ সদস্যরা এই দায়িত্ববোধ থেকেই এগিয়ে এসেছে।
সংগঠনের উপদেষ্টা মো. তোফায়েল হোসেন মৃধা বলেন, রকিবের পরিবারের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এমন সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলে সমাজ আরও সুন্দর হবে।
তিতকাটা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজকের সমাজে যখন আত্মকেন্দ্রিকতা বেড়ে যাচ্ছে, তখন এমন মানবিক উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। এই তরুণদের কাজ সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রকিবের মতো একটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে পাটুখালী পায়রা যুব সংঘ যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এমন সহায়তা একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে স্বস্তি দিয়েছে, অন্যদিকে সমাজে ইতিবাচক বার্তাও ছড়িয়ে দিয়েছে—বিপদের সময়েও মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত