অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে পূজা উদযাপন পরিষদ

| আপডেট :  ২১ জুন ২০২৫, ১০:১৮  | প্রকাশিত :  ২১ জুন ২০২৫, ১০:১৮

যশোরের অভয়নগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। 

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বেড়েধাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। পরে পানাম গ্রুপের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন।

এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বেড়েধাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। 

পরে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারের প্রত্যেককে পানাম গ্রুপের পক্ষ থেকে ৫০ কেজি চাল, ৫ কেজি তেল, ৫ কেজি ডাল, ১০ কেজি করে আলুসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্মাণ করা ঘরগুরো পরিদর্শন করেন। 

এ সময় নেতারা বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্মাণ করা ঘরগুলো দেখলাম। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ রয়েছে, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্মাণ করা ঘরগুলোর কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন করেনি। ফলে বৃষ্টি ও ঝড়ে এ ঘরগুলোতে থাকা কষ্ট হয়ে যাবে।’

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্মাণ করা ঘরগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরা চাই, সেনবাহিনী বাকি কাজগুলো দেখভাল করুক। তাহলে কাজের মান ভালো হবে। এ ছাড়া মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরিদর্শন ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সিনিয়র সচিব (অব.) অশোক মাধব রায়, সচিব (অব.) সুবির কিশোর চৌধুরী, গোপাল চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যশোর জেলা শাখার সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সহসভাপতি শ্যামল দাস, দুলাল সমাদ্দার, সুন্দলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ মল্লিক, অভায়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনী সম্পাদক দেব কুমার ঘোষ, সদস্য কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, সদস্য তাপস সাহা গোবিন্দ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী সুমন সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান। সেখানে মৎস্যঘেরের জমিসংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর শেষে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে তরিকুলের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের ১৩টি পরিবারের ১৮টি ঘরে ভাঙচুর-লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত