সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী পালন
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গ্রামের বাড়ি ঐতিহ্যবাহী চিওড়া কাজী বাড়ি জামে মসজিদে বাদ আসর মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া ও মিলাদ করেন চিওড়া কাজী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব আলহাজ মাওলানা অহিদুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ চৌধুরী পাশা, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা খবির আহমেদ মজুমদার, উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি কাজী সহিদ, আলকরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জহিরুল হক, গুণবতী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জানে আলম দোভাষী, চিওড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক হাজির রুহুল আমিন, চিওড়া ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি ফয়েজ মজুমদার, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, সোলেমান আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন,কাজী বিপ্লব, জগন্নাথদীঘি যুব সংহতির সভাপতি সাগর মজুমদার প্রমুখ।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ ৬৪ বছরের এক বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে তিনি রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন।
১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার প্রখ্যাত চিওড়া কাজী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও এমএ (ইতিহাস) পাস করেন। বিভিন্ন সময়ে কাজী জাফর আহমেদ ছাত্র ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
১৯৭২-১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড পিপলস পার্টির (ইউপিপি) প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিপরিষদের শিক্ষামন্ত্রী হন।
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টির সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে উপপ্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত