বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আদর্শ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় আকলিমা খাতুন (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় আকলিমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। আকলিমা খাতুন উপজেলার গোসাইবাড়ি মাস্টারপাড়া গ্রামের শামীম হোসেনের স্ত্রী। তবে আকলিমার গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতক মেয়েটি সুস্থ রয়েছে।
রোগীর স্বজনরা জানান, অস্ত্রোপচারের (সিজার) জন্য অন্তঃসত্ত্বা আকলিমাকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২টায় তাকে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ডা. মেহেরুল মিশু। এ সময় প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এ অবস্থায় ডা. সাখাওয়াত হোসেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আকলিমার গর্ভ থেকে নবজাতককে বের করেন।
পরে ক্লিনিকে প্রসূতির অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে তাকে বগুড়া টিএমএস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টায় আকলিমার মৃত্যু হয়।
নিহত আকলিমার চাচা আব্দুস ছালাম বলেন, সিজারের সময় থেকেই আকলিমার অবস্থা ভালো ছিল না। বিষয়টি ডাক্তার-নার্সদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। রোগীর অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ক্লিনিকের লোকজন বগুড়ায় নিয়ে যেতে বলেন। বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার সময় আকলিমা মারা গেছে। গরিবের কোনো জায়গাতে বিচার হয় না। এ কারণে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করিনি।
এ বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারী ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পরই প্রসূতির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এ অবস্থাতেই মানবিক দিক বিবেচনা করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে প্রসূতির গর্ভ থেকে নবজাতককে বের করা হয়েছে। তবে প্রসূতির শরীরে রক্তশূন্যতা ছিল।
অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগকারী ডা. মেহেরুল মিশু বলেন, অস্ত্রোপচারের পর পোস্ট অপারেটিভ অব্যবস্থাপনার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পারিচালক আব্দুল মোমিন বলেন, অস্ত্রোপচারের পর স্ট্রোক করে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তারপরও তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ কাদির জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত