তামাবিলে বাস উল্টে ২৮ যাত্রী হাসপাতালে, নিখোঁজ ২
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় তামাবিল মহাসড়কের ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে গেলে অন্তত ২৮ যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাতজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, আর স্থানীয় জৈন্তাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বাকি ২১ জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৫০ মিনিটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা গেটলক পরিবহনের একটি বাস ৩২ যাত্রী নিয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। রাত প্রায় ৭টা ৪০ মিনিটে ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছলে একই দিকে আসা একটি ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পশ্চিম পাশে উল্টে পানিতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন। তাদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বাসের দুই যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গেটলক পরিবহনের যাত্রীসেবা দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় এবং যাত্রীবান্ধব হিসেবে পরিচিত। দুর্ঘটনার পর তাদের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ সহায়তা ও যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে, তবে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা ও স্থানীয়দের সহায়তায় অনেকেই প্রাথমিকভাবে নিরাপদ অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা এখনো নিখোঁজ দুই যাত্রীর সন্ধানে কাজ করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং পুরো বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব এবং আমরা সে লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত