ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না, জানালেন পুষ্টিবিদ

| আপডেট :  ২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৩  | প্রকাশিত :  ২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৩

ড্রাগন ফলকে অনেকেই বলেন ‘সুপার ফ্রুট’। আকর্ষণীয় রং, মিষ্টি স্বাদ আর ভরপুর পুষ্টিগুণের কারণে এ ফলটি এখন বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে ফলটি কিছুটা ভিন্ন মর্যাদা পেয়েছে। বাজারে দাম তুলনামূলক বেশি হলেও শরীরের জন্য উপকারী জেনে অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখছেন।

কিন্তু যে কোনো খাবারের মতো ড্রাগন ফলেরও যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। কেউ কেউ বেশি খেয়ে ফেলেন, আবার কেউ খাওয়ার পরই হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন। তাই কারা খাবেন, কারা খাবেন না এবং কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত—এসব জানা জরুরি।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি দেশের একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান। তিনি ড্রাগন ফল নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।

কারা খাবেন

পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহানের ভাষায়, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও আয়রনসমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যাদের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী এ ফল।  এতে থাকা আয়রন দ্রুত কাজ করে। হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষও ড্রাগন খেতে পারেন। কারণ এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ফলটি সহায়ক। এ ছাড়া শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতেও ড্রাগন কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কারা খাবেন না

যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের জন্য খালি পেটে ড্রাগন ফল খাওয়া ঠিক নয়। এতে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা অস্বস্তি হতে পারে। এ ছাড়া যাদের কিডনিতে পাথরের প্রবণতা রয়েছে, তাদেরও সাবধানে খেতে হবে। কারণ ড্রাগনে অল্প পরিমাণ অক্সালেট থাকে, যা কখনো কখনো কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

আরও পড়ুন : ৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক

আরও পড়ুন : রাতে ভালো ঘুমের জন্য খাবেন যে ৭ খাবার

পুষ্টিবিদ আরও জানান, অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের নিয়মিত ড্রাগন খাওয়া ঠিক নয়। তাদের অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। তা না হলে পেটব্যথা, বমি বমি ভাব কিংবা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

কতটা খাবেন

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত ড্রাগন ফল যথেষ্ট। শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ অর্ধেক করা উচিত (৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম)। যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা ড্রাগন ফল দই বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত