ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা জুলুম : বায়তুল মোকাররমের খতিব

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৪  | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৪

রাজনৈতিক অঙ্গনে ছাত্রদের ব্যবহার করা জুলুম বলে মন্তব্য জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশমূলক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

সেমিনারে ছাত্রদের অধিকার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শায়খ আব্দুল মালেক বলেন, এই যে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের ছাত্র দল (সংগঠন) আছে। তারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ব্যবহার করে। এটা ছাত্রদের ওপর জুলুম। এমনকি ইসলামি দলগুলোও ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করছে, এটাও অন্যায়। এটাও তাদের ওপর জুলুম।

জ্ঞান-বিজ্ঞানকে ‘অনৈসলামিক’ পদ্ধতিতে শেখানোকেও বিশাল জুলুম হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় মসজিদের এই খতিব। তার দাবি, জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে নাস্তিকতা এবং অনৈসলামিক পদ্ধতিতে মুসলিম দেশে পড়ানো- এটা বিশাল জুলুম। কঠিন জুলুম। ওই জুলুম থেকে ছাত্রদের রক্ষা করতে হবে।

সেমিনারটিতে ‘নারীর অধিকার ও মর্যাদা; বর্তমান বাস্তবতা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শাইখুল হাদিস মাওলানা আবুল বাশার।

প্রবন্ধে তিনি বলেন, আজকের সমাজে বাবা কর্তৃক মেয়েকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করার ঘটনা বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। যেই মা নিজ উদরে বহন করেছেন, বুকের অমৃত পান করিয়ে নির্ঘুম প্রতিপালন করেছেন, তিনিও পর্যন্ত সম্পত্তির বেলায় অনেকক্ষেত্রে পুত্রঘেষা। আর বোনের ন্যায্য অধিকার বুঝিয়ে দেওয়ার বেলায় তার প্রিয় সহোদরদের আমরা কেমন জায়গায় দেখছি? রইল শারীরিক সহিংসতার কথা। আজ এটা এক লোমহর্ষক বাস্তবতা! এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে, সমাজকে বের করতে হবে। ইসলামের শিক্ষাগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। নারীর অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে এবং দাম্পত্য জীবনের সৌহার্দ্য ও সৌন্দর্যের যে শিক্ষা ইসলাম দিয়েছে, এগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে।

এ সময় বিয়েকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে  কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. এবিএম হিজবুল্লাহ বলেন, বিভিন্নভাবে বিয়েকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তার দাবি, তালাক ও পরকীয়ার মতো বিষয়গুলোতে গণসচেতনতা তৈরিও ইনসাফের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। বিয়ের পূর্বে পাত্র-পাত্রী উভয়ের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ করানো উচিত। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত