ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার প্রধান ফটকের সামনে উপজেলার সর্বস্তরের জনতা ব্যানারে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, নারী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিশুর বাবা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর হালিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহিম সরকার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ, উপজেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, মানববন্ধন সমন্বয়কারী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক আইয়ুবী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান হোসেন কামাল প্রমুখ।
ধর্ষণের ঘটনার ১২ দিন পার হলেও অভিযুক্ত প্রধান আসামি তামিম গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধরা। তারা ধর্ষণের মতো পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের পর বিচারের দাবি জানান। কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতা থানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
পরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
গত ১৪ এপ্রিল উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা মো. তামিম (২২) পোষা বিড়াল দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশীর পাঁচ বছরের মেয়েকে ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটি সেখানে এখন চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর শিশুটির মা বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত তামিমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালবেলাকে বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে আসামিকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত