এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

| আপডেট :  ৩০ জুন ২০২৫, ১১:৫৯  | প্রকাশিত :  ৩০ জুন ২০২৫, ১১:৫৯

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই মামলায় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় ভারতে অন্তরীণ প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনও আছেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে রোববার (২৯ জুন) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করেন। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ২০১২ সালের মানি লল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় মামলা দুটি করা হয়। এর মধ্যে একটিতে ঋণ জালিয়াতি করে ২৯ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং আরেকটিতে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

পি কে হালদার ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আর বোরহানুল হাসান চৌধুরীকে পরিচালক হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ঋণগ্রহীতা সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন (৬৫), তার স্ত্রী মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নারগিস চৌধুরী (৬০), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী (৬৫), সাবেক পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ (৭০), ড. মোহাম্মদ ফারুক (৭১), আরিফ আহমেদ (৪৩), মায়মুনা খানম (৩৪), সরোয়ার জাহান মালেক (৬২), শাহানা ফেরদৌস (৪৯), সাজেদা নুর বেগম (৫৮), সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা (৭৬) ও এস এ এম সলিমউল্লাহ (৭৫)।

এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার (৭১), সাবেক এসভিপি অ্যান্ড হেড অব ক্রেডিট মোহাম্মদ মাহমুদ আলম (৫৪), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জাহেদ (৬৮), ব্যবস্থাপক মো. শামসুল আলম (৫২), মুন্নিশ্রী চক্রবর্তী (৪৯), প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী (৪৫), জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম (৩৯), মো. মিজানুর রহমান এবং নিগার সুলতানা (৩৯) রয়েছেন আসামির তালিকায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে চট্টগ্রামের সাদ মুসা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাহমুদ সাজিদ কটন মিলস লিমিটেডের নামে দুটি ঋণ অনুমোদন হয়। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত