মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইরান স্টাইলে হামলার হুমকি ইসরায়েলের
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইরান স্টাইলে হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। দখলদাররা হুঁশিয়ার করে বলেছে, যারাই ইসরায়েল স্বার্থবিরোধী কাজ করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণের অনুরূপ এ হামলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করেন।
কাটজ এক্স-এ লিখেছেন, ইয়েমেনের সঙ্গে তেহরানের মতো আচরণ করা হবে। তেহরানে সাপের মাথায় আঘাত করার পর আমরা ইয়েমেনে হুতিদের ওপরও হামলা করব।
তিনি আরও বলেন, যে কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, সেই হাত কেটে ফেলা হবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বিমান বাহিনী ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তার কিছুক্ষণ পরই এই হুমকি দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি হুমকির ব্যাপারে হুতি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো ইসরায়েল মেনে নিয়েছে—এমনই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হামাস এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতির সময়ে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে।’ তবে ইসরায়েল যেসব শর্তে সম্মত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যারা এ দুদেশের শান্তির জন্য পরিশ্রম করছে, সেই কাতার ও মিশরই এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে। আমি আশা করি, হামাস এটি গ্রহণ করবে। কারণ, এর চেয়ে ভালো কিছু তারা পাবে না। বরং এ প্রস্তাব তারা না মানলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে লোহিত সাগরে পশ্চিমা ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলা করছে হুতিরা। গোষ্ঠীটি নিয়মিত বিরতিতে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে। তবে তেলআবিবের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশই ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত