পাকিস্তানে না যাওয়ার বিষয়ে ভারতের লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি
২০২৫ সালের আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বেশ বড় ধরনের অনিশ্চিয়তা শুরু হয়েছে। আট দলের আসর পাকিস্তানে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় ভারতীয় দল পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বেশ অসন্তুষ্ট এবং বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে।
আইসিসি গত শুক্রবার পিসিবিকে জানায়, ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় বিসিসিআই পাকিস্তানে খেলতে যেতে পারবে না। তবে পিসিবি চায়, বিসিসিআই থেকে এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য ও কারণ জানানো হোক। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১০০ দিনের কাউন্টডাউন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
পিসিবির অবস্থান সুনির্দিষ্ট: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পুরোপুরি পাকিস্তানে আয়োজন করা হবে এবং কোনও ‘হাইব্রিড মডেল’ (যা ২০২৩ এশিয়া কাপে ব্যবহৃত হয়েছিল) বিবেচনা করা হচ্ছে না। পিসিবির সিনিয়র কর্মকর্তারা ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বাইরে ম্যাচ আয়োজনের কোনও সম্ভাবনা নেই। গত এশিয়া কাপে ভারত তাদের ম্যাচগুলি নির্ধারিত ভেন্যুর বাইরে খেলেছিল, তবে এবার পিসিবি সেই মডেল প্রত্যাখ্যান করেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত। যদিও, বর্তমানে পিসিবির সিদ্ধান্তে পাকিস্তান সরকারের প্রভাব রয়েছে, তাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন সরকারের হাতে।
গত বছর পাকিস্তান, সরকারের অনুমোদন নিয়ে, ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল। অনেক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এই আশায় যে, ভারত পরে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আসবে। বর্তমান সরকার, যেখানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নাকভি পিসিবি চেয়ারম্যান হিসেবেও আছেন, এখন এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।
তাছাড়া, পিসিবির বক্তব্য তিন বছর আগে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল এবং তখন থেকে এই বিষয়ে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। পিসিবি অক্টোবরে আইসিসি বোর্ড সভায় টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্টও দিয়েছে।
আইসিসি এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত